মাগুরা জেলা সদর সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এবং মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে ও মেয়েকে “মা হত্যার” বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মিতু হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ওই দম্পতির ছেলে আখতার মাহমুদ মাহির (১৩)। এ সময় মেয়ে তাবাসসুম টাপুর (৭) উপস্থিত থাকলেও তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি।।
সোমবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয় মাহির।
ওমর ফারুক বলেন, “ঘটনার দিন মায়ের সঙ্গে ছিল ছেলে মাহির। তাকে স্কুলের গাড়িতে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে মারা যান মিতু। এ মামলায় ছেলেই হচ্ছেন একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। প্রথমবারের মতো আদালতের নির্দেশে দুই ছেলে-মেয়ের মুখোমুখি হতে পেরেছি।”
ওমর ফারুক আরও বলেন, “মাহির অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যেগুলো মামলার তদন্তকে এগিয়ে নিতে গুরুত্ব পাবে। বর্ণনা দিয়েছেন, কীভাবে চোখের সামনে মাকে নির্মমভাবে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে সেসময় মেয়ের বয়স কম হওয়াতে তাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু খুন হন। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে এ মামলা তদন্ত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত পায় পিবিআই। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে বাবুল আক্তারই তার বিশ্বস্ত সোর্সদের দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান। পরে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।