ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল এবং সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক গ্রাহক। তিনি ঢাকার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরের বাসিন্দা।
রবিবার (৩ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদশ চন্দ্র অধিকারীর আদালতে বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পাশাপাশি ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের পণ্যের অর্ডার করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে সব টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ইভ্যালি পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী তখন প্রতিষ্ঠানটির কাছে তার অর্থ ফেরত চেয়েছিলেন।
পরে ইভ্যালি অভিযোগকারীকে ৫টি চেক দেয়। তবে, হেমায়েতপুরের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডে (ইউসিবি) জমা দেওয়ার পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বরে সবগুলো চেক বাউন্স করে। অভিযোগকারী বিষয়টি ইভ্যালিকে জানালেও তারা টাকা পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২১ সালের মার্চে জানতে পারে, ইভ্যালির পাওনার পরিমাণ মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪০৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে দায় রয়েছে ২১৪ কোটি টাকা।
এর আগেও ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানার পাশাপাশি আদালতে আরও ৫টি অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়। ছয়টি মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্তি পান। তবে আরও কয়েকটি মামলায় জামিন বাতিল করা হওয়ায় মো. রাসেল এখনও কারাগারে রয়েছেন।