গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল পর্যন্ত) ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে বন্যায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে।
শুক্রবার (১ জুলাই) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন পানিতে ডুবে এবং একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। মৃত ৯৫ জনের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৬৮ জন, বজ্রপাতে ১৫, সাপের কামড়ে দুই, ডায়রিয়ায় এক এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
এছাড়া বন্যার কারণে নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ২০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৬২৯ জন। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৮ জন। এ রোগে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৭ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে বন্যায় রংপুর বিভাগে পাঁচ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩, সিলেট বিভাগে ৫৬ ও ঢাকা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব বড় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে ব্রহ্মপুত্র নদ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পাউবোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।