পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলে সমালোচিত টিকটকার বায়েজিদ তালহা মৃধার পটুয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মৃধা বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ।
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার ঘটনায় আটকের পর পরই জানা যায় বায়েজিদের বাড়ি পটুয়াখালীতে।
স্থানীয়রা জানায়, খবর শুনে স্থানীয়দের একটি পক্ষ খোঁজ-খবর নিতে থাকে। এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে এসে বায়েজিদের ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় বায়েজিদের সহোদর মো. সোহাগ মৃধার স্ত্রী-সন্তান ভয়ে পাশের ঘরে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা বায়েজিদদের ঘরের পাশাপাশি ভাইয়ের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে।
হাদিসা আক্তারের অভিযোগ, বিকেলের দিকে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ছিলাম। এ সময় রামদা, কুড়াল নিয়ে অনেকগুলো ছেলে বাড়িতে ঢুকলে আমরা ভয়ে পাশের ঘরে চলে যাই। আমার ঘরের বেড়া কোপানোর পাশাপাশি মালামাল ভাংচুর করা হয়।
লাউকাঠি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, বায়েজিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের কথা শুনেছি। পুলিশ ও সাংবাদিকরা গিয়েছিলেন। হামলাকারীদের কেউ চিনতে পারেনি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, বায়েজিদ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি ঢাকায় থাকার কারণে এলাকায় তেমন পরিচিত নন। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে গ্রামের বাড়ি এলেও দুই-একদিন থেকে ঢাকায় ফিরে যেতেন তিনি।
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রথম দিন রবিবার (২৬ জুলাই) বায়েজিদ টিকটক ভিডিও বানাতে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে ফেলেন। ওইদিনই সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকার শান্তিনগর থেকে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে বায়েজিদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার তাকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।