ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আজ আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। আর সবথেকে বড় কথা হলো, গণমানুষের সমর্থন নিয়েই আমরা সেটা করেছি। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং আর কখনো পরমুখাপেক্ষী হবে না।”
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম ও ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট করি এবং আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।”
দেশের সকল অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ অর্থ মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, আওয়ামী লীগ অর্থই উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।”
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ইনশাল্লাহ, এই আওয়ামী লীগ যদি জনগণকে সেবা করার সুযোগ পায় অবশ্যই বাংলাদেশ আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণেরই সংগঠন এবং সবসময়ই এদেশের শোষিত-বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের জন্যই সংগ্রাম করে গেছে। আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং সেই সময়ের মধ্যে তিনি একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করেন। আমাদের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করে যান। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭৫ সালে দেশটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করে। দুর্ভাগ্য আমাদের ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে অমানিশার আঁধার নেমে আসে।”
আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও সরকার তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, “২১০০ সালের জন্য শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ যাতে উন্নত সমৃদ্ধ হয় সে পরিকল্পনাও তৈরি করে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা নিয়ে এদেশ চলতে থাকলে, এদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না, রুখতে পারবে না, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”