বন্যার সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যাসৃষ্ট কিছু দুর্ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসের ১৭ তারিখ থেকে গতকাল ২১ জুন পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বুধবার (২২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, দেশের ৯ জেলায় গত ৩৬ দিনে ৪২ জন মারা গেছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জে ৫ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩ জন মারা গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুরে ৫ জন করে মারা গেছে। আর শেরপুরে প্রাণহানি হয়েছে ৩ জনের।
রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রংপুর জেলায় কারো মৃত্যু হয়নি। কুড়িগ্রামে ২ জন এবং লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় বন্যায় সারা দেশে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ জন। তবে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় কারো মৃত্যু হয়নি।
আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১১৩ জন, এ রোগেও কারো মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাপের দংশনে চারজন আক্রান্ত হয়েছে, একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে পানিতে ডুবে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়।
চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৩ জন, চোখের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬১ জন, নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ৩৯ জন।
এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৪৮১ জন।