আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আরও ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ জুন) স্থানীয় সময় ভোর রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকতিকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই প্রদেশটি দুর্গম ও পাহাড়ি হওয়ায় সঠিক হতাহতের খবর এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির একজন কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আহতদের উদ্ধারে এবং দুর্যোগকালীন চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের অন্যান্য সহায়তাও জোরদার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে পাকতিকা প্রদেশে স্ট্রেচারে আহত ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ ও বাড়িঘর ধ্বংস হতে দেখা গেছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা। মাটির ৫২ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তি স্থল। সেখান থেকে প্রায় পাঁচশো কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির প্রভাব আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও অনুভূত হয়েছে।
তালেবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান মোহাম্মদ নাসিম হাক্কানি জানিয়েছেন, অনুসন্ধান শেষে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
তবে পাকিস্তানে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি এক টুইট বার্তায় লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত, গতরাতে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় একটি প্রবল ভূমিকম্প হয়েছে, যার ফলে আমাদের শতাধিক দেশবাসী হতাহত হয়েছে এবং বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আমরা আরও বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে এসব এলাকায় দল পাঠানোর জন্য সব সাহায্য সংস্থাকে অনুরোধ করছি।”