দেশব্যাপী বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সব বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা স্থগিত করেছে সরকার। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার (১৯ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ।
পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৯ জুন থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়। ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার পর থেকেই এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে তপন কুমার বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছাতেও পারে। কারণ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে মোটামুটি দুই মাসের একটি বিরতির প্রয়োজন হয়। তা না হলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা কিছু সময় পিছিয়ে যেতে পারে।
স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময়সূচি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা তপন কুমার বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। যদি দেখা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গেছে, তাহলে ঈদের আগেও শুরু করা যেতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা আগামী বছরের এপ্রিলে এবং এইচএসসি পরীক্ষা জুনে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।