কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষার্থে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সর্তক করা হয়।
জেলা সদরের হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বড়ুয়ারটেক, বালাঘাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে মাইকিং করে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জানান, প্রতি বছর এই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও পাহাড় ধস দেখা দেয়, আর সেই সঙ্গে পাহাড় ধসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে, তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সার্বিক বিষয়ে তদারকির জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
লামা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশা জানান, লামা পৌরসভা এলাকায় যারা পাহাড়ে কিংবা সমতলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য ও সতর্ক থাকতে রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরণে দুর্যোগ মোকাবেলায় পৌরসভা প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে।
পাহাড়ের চূড়ায় ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরে যেতে ও সতর্ক অবস্থায় থাকতে শুক্রবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী তথ্য অফিসার খন্দকার তৌহিদ।
এই ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে অন্তত ৪০ হাজার পরিবার। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলার সঙ্গে উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।