দেশে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে তিন লাখ ৯২ হাজার ১১৭টি শূন্যপদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আদালতে মামলা থাকায়, নিয়োগবিধির কাজ শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতি যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্যপদে যথাযথ সময়ে পূরণ করা যায় না।
তিনি বলেন, “সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নতুন পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম চলমান। শিগগির পদায়ন নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ করা হবে। সিনিয়র স্কেলসহ সব গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেয়ার জন্য বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) রয়েছে এবং সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবপদে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ রয়েছে, যার আলোকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।”
ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিসিএসের মাধ্যমে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এ সময়ে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির (১০-১২তম গ্রেড) সাত হাজার ১৬১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কর্ম কমিশন নবম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড চার হাজার ৬৫৮ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৪২ হাজার ৪০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী সম্পদের হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়টি আচরণ বিধিমালায় আগে থেকেই সংযোজিত রয়েছে বলে জানান তিনি।”