মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ১৩ জুলাই সৌদি আরব ও ইসরায়েল সফরে যাবেন। বাইডেনের এই সফরের কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বাইডেনের সৌদি আরব সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে বাইডেন সৌদি আরবে মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। সেখানকার যুবরাজ মোহাম্মেদ সালমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়েছিল।
২০১৮ সালে তুরস্কের সাংবাদিক জামাল খাসগজিকে হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজের হাত ছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করেন। তিনিই এখন কার্যত দেশ চালাচ্ছেন।
সৌদি সফরে শুধু সৌদির রাজা সালমানের সঙ্গে বাইডেন আলোচনা করবেন তাই নয়, যুবরাজের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, “হ্যাঁ, যুবরাজের সঙ্গেও প্রেসিডেন্টের দেখা হবে।”
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা এখন বিশ্বের পরিস্থিতি পুরো বদলে দিয়েছে। অশোধিত তেলের দাম প্রচুর বেড়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে ইউরোপ। এই অবস্থায় সৌদি তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা দিনে ছয় লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করছে।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ এবং এই অঞ্চলে চীনের প্রভাববৃদ্ধি। ফলে এখন সৌদিকে গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে। সৌদি বিরোধিতার নীতি নিয়ে আর চলতে পারছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন সেখানে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্বের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন। ইয়েমেনে জাতিসংঘের উদ্যোগে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া আর্থিক ও সুরক্ষার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাইডেন প্রথমে ইসরায়েল সফরে যাবেন এবং প্রেসিডেন্ট নাফতালি বেনেটের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি ওয়েস্ট ব্যাংকেও যাবেন। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।