বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে জরুরিভিত্তিতে তার এনজিওগ্রাম করা শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫% সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।”
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
সে সময় শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টা ৫৫ মিনিটে তাকে নিয়ে গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের পথে রওনা দেওয়া হয়। পরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রাত ৩টা ২০ মিনিটে চেয়ারপারসনকে ভর্তি করা হয়েছে।”
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অন্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিতি ছিলেন বলে জানান শায়রুল কবির খান।
তখন হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কাল থেকেই হৃদরোগের সমস্যা বোধ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা চেক করতে গিয়ে বিষয়টা টের পান। পরে রাত ২টার দিকে ডা. জাহিদের কাছে খবর পাই তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এখন পরীক্ষার পর সমস্যা কতখানি জটিল তা জানা যাবে।”
এরপর দুপুরে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “খালেদা জিয়ার অ্যাকিউট করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।