ইরানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খননকারী যন্ত্রের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। ট্রেনে কয়েকশ যাত্রী ছিলেন। দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৬ জন।
বুধবার (৮ জুন) পূর্ব ইরানে এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। ওই ট্রেনের এক যাত্রী জানান, ভয়ংকর অবস্থা ছিল। বেশকিছু যাত্রী বলের মতো বাইরে উড়ে গেছেন। তাদের বগির কাঁচের জানালা ফেটে যায়। এরকমই একটি জানালা দিয়ে তিনি বাইরে আসতে পারেন।
সংবাদসংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও তিনটি হেলিকপ্টারকে উদ্ধারকাজে লাগানো হয়।
সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী রোস্তাম ঘাসিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার জন্য তার মন্ত্রণালয় দায়ী। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
তিনি একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “ওখানে লাইনে নির্মাণকাজ চলছে। একটি খননকারী যন্ত্র লাইনের উপরেই রাখা ছিল। চালক সেটা দেখার পর ব্রেক কষে। তখনই ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যূত হয়।”
এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
কাকভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখনও চারপাশ অন্ধকার ছিল। ট্রেনটিতে ১১টি বগি ছিল। অনেকগুলি বগি লাইনচ্যূত হয়ে উল্টে যায়। উদ্ধারকারী দল দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পৌঁছাবার চেষ্টা করে।
ইরানে মোট ১৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথ আছে। ২০০৪ সালে সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়। গ্যাসোলিন, সালফার, সার ও তুলা বহনকারী একটি মালগাড়ি সোজা গিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা মারে। ৩২০ জন সেই দুর্ঘটনা মারা গিয়েছিলেন।