২০১৩ সালের পর আবারও বাংলাদেশে এসেছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি। ফলে ৯ বছর আবারও বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতির সোনালী ট্রফিটি চর্মচোখে দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবল অনুরাগীরা।
বুধবার (৮ জুন) সকাল সোয়া এগারোটার পর কোকাকোলার এক চার্টার্ড ফ্লাইটে বিশ্বকাপের ট্রফি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা বিশ্বকাপ ট্রফি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রহণ করেছেন।
বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলার সৌজন্যে বিশ্বকাপের ট্রফিটি সাধারণত প্রতি আসরের আগে বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়। সে অনুয়ায়ী এবার ৫১টি দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশও। কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১২ মে দুবাই থেকে কোকা-কোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণের শুরু। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপের আকর্ষণীয় ট্রফিটি এবার পাকিস্তান ঘুরে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে বিশ্বকাপ ট্রফি রওনা দেবে।
বাংলাদেশে বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে এসেছেন ১৯৯৮ সালের ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিস্টিয়ান কারেম্বেউ। তার সঙ্গে ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সোনালী ট্রফির সঙ্গে এসেছেন।
বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিটি বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে এবং সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবার কথা রয়েছে। সেই সময় বাফুফের নির্বাহী কমিটির ২১ জনের মধ্যে শীর্ষ ৬-৭ জনের যাবার কথা রয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার আর্মি স্টেডিয়ামে জনসাধারণের জন্য সেটি উন্মুক্ত থাকবে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ট্রফিটি বাংলাদেশ থেকে যাবে পূর্ব তিমুরে। ৮ জুন ট্রফি প্রদর্শনী নেই। এদিন শুধুমাত্র বঙ্গভবন ও গণভবনে ট্রফি যাবে। পরের দিন বিকালে আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট হবে। সেই কনসার্টে জনসাধারণের প্রবেশ থাকলেও ছবি তোলার সুযোগ থাকবে সীমিত।”