২০২১ সালের ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট (ইলেকট্রনিক গেট) উদ্বোধন করা হয়। তবে উদ্বোধনের পর গত ১১ মাসেও এ ই-গেট ব্যবহার করা হয়নি।
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের ১১ মাস ৮ দিন পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট চালু হয়েছে। সোমবার (৬ জুন) পরীক্ষামূলকভাবে এই গেট ব্যবহার করা হয়। পরে মঙ্গলবার এটি পুরোপুরি চালু করা হয়। ফলে একজন যাত্রী মাত্র ১৮ সেকেন্ডে নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন।
এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিমানবন্দরে ই-গেট চালুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলাদেশ।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক কর্নেল মো. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “আজ (মঙ্গলবার) থেকেই বিমানবন্দরে ই-গেট চালু হয়েছে।”
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, “বিমানবন্দরের ডিপার্চার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। ই-পাসপোর্টধারীরা ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট দিয়ে যেতে পারেন।”
বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর জানায়, ই-পাসপোর্ট নিয়ে যখন ই-পাসপোর্টধারী একজন ব্যক্তি ই-গেটের কাছে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ ভুল করলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন।
ই-গেট কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন। তাদের সামনে ই-গেটের মাধ্যমে কয়েকজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি) সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল (এবিসি) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ইলেকট্রনিক গেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।