চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত রোগীদের দেখতে এসে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় মোট ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে সাড়ে ৫টার দিকে চমেক হাসপাতালের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। এ তথ্য জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শহীদ শ্যামল।
তিনি বলেন, “ঢাকা থেকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে আসেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় তার গাড়িও ভাংচুর করা হয়। হামলায় আমাদের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাফায়েত হোসেন নামের একজন বলেন, “উনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে দলবল নিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরছিলেন। তখন ইমার্জেন্সী থেকে মেইন গেইটে যাওয়ার সময় তাদের লোকজনের পেছনে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে। তাই পাবলিক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়।”
এদিকে হামলার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, “এটা ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। তিনি কোনো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নন, তার ওপর কেন ছাত্রলীগ হামলা করবে। সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের পর থেকে তো হাজার হাজার মানুষ আসছে, কই কারও তো কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি ওনার আগে বিএনপির আমির খসরু সাহেব এসেছেন, তিনিও তো ঠিকঠাক চলে গেছেন। এগুলো মূলত উদ্দেশ্য প্রণোদিত কর্মকাণ্ডের একটি অংশ।”