জুরাইনে পুলিশকে মারধর ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শ্যামপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আটক তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩৫০-৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম মামলার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- মোটরসাইকেলচালক বার্তা বিচিত্রা নামক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ভুঁইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভুঁইয়া।
মফিজুল আলম জানান, আহত সার্জেন্ট আলী হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টো পথে আসা এক মোটরসাইকেল আরোহীর কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয় দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেনের। এক পর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান ওই মোটরসাইকেলচালক। পরে মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে ইয়াসিন জাহান অভিযোগ করেন, তার গায়ে হাত দিয়েছেন সার্জেন্ট। এই অভিযোগে ওই নারী চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ট্রাফিক বক্সে হামলা ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন।
এ বিষয়ে ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখারুল আলম বলেন, “ওই নারীর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশে থাকা লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করেন এবং পুলিশ বক্স গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে। এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে।”
এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন- সার্জেন্ট আলী হোসেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল দত্ত।