ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লাইমান শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ান ও রুশ-সমর্থিত বাহিনীর হাতে চলে গেছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। গত কয়েক দিন ইউক্রেনের সৈন্যদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের পর শনিবার রুশ সৈন্যদের হাতে শহরটির পতন হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার স্বঘোষিত দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলেছিল, তারা শহরটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সিভিয়েরোদনেৎস্কের পশ্চিমের এই শহরটি রেলওয়ের অন্যতম কেন্দ্র ছিল।
শুক্রবার ইউক্রেন জানায়, লাইমান শহরের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা লাইমান থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমের স্লোভিয়ানস্ক শহরের দিকে রুশ সৈন্যদের অগ্রযাত্রা প্রতিরোধ করছে।
গত কয়েক দিন ধরে লাইমান শহরে রুশ এবং ইউক্রেনীয় সৈন্যদের লড়াই চলছে। দৈনিক হালনাগাদ তথ্যে রাশিয়া বলেছে, রুশ সৈন্যরা বাখমুত এবং সোলেদার শহরে ইউক্রেনীয় কমান্ড পোস্টগুলো ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। উভয় শহরই লাইসিচানস্ক এবং সিভিয়েরোদনেৎস্ক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের ওপর অবস্থিত। এখন রুশ সৈন্যদের আক্রমণের কেন্দ্রে রয়েছে এই অঞ্চল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের পাঁচটি কমান্ড ও পর্যবেক্ষণ চৌকি ধ্বংস করেছে। এছাড়াও ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ঘাঁটি এবং সামরিক সরঞ্জাম মজুতের এলাকায়ও আঘাত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিরকোভ, বাখমুত এবং মাইরোনিভকা শহরের কাছে গোলাবারুদের চারটি গুদাম ধ্বংস করেছে রুশ সৈন্যরা।
তবে রাশিয়ার এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পিছু হটার পর এখন ডনবাস অঞ্চলের দিকে আক্রমণ শানিয়েছে।
ইউক্রেন নিরস্ত্রীকরণ করতে এবং সেখানে বসবাসরত রুশ ভাষাভাষী লোকজনকে জাতীয়তাবাদীদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে কিয়েভ এবং পশ্চিমারা বলছেন, মিথ্যা অজুহাতে দেশটিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।