যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ দেশটির জনপ্রিয় কিছু ব্যক্তি ও শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৯৬৩ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া। তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। শনিবার (২১ মে) এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় মস্কো।
রাশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় আছেন জনপ্রিয় দুই ব্যক্তিত্ব। একজন ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ, অন্যজন হলিউড অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যান। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন ও সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসও এ তালিকায় রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিষ্কারভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টসহ মার্কিন ব্যক্তিত্বদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ইউক্রেন ইস্যুতে। প্রতিবেশী দেশে আগ্রাসন চালানোয় মার্কিন পদক্ষেপের পাল্টা জবাব হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে মস্কো।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্বের অন্যান্য অংশে একটি নব্য ঔপনিবেশিক বিশ্বব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থান পরিবর্তন এবং নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতামূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
শুধু মার্কিন কর্মকর্তা বা ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে মস্কো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নয়। এ তালিকায় যুক্ত হবে ২৬ জন কানাডিয়ানও।
মস্কো বলছে, কানাডার ২৬ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও রাশিয়া ভ্রমণে বাধা দেওয়া হবে। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান, প্রতিরক্ষা শিল্পের নির্বাহী। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো, তার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডসহ আরও শতাধিক কানাডিয়ানের বিরুদ্ধে রাশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞার এ তালিকা প্রকাশর পর রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওয়াশিংটনের নেওয়া বিদ্বেষীমূলক পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। আমরা জোর দিচ্ছি এটি অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: রয়টার্স