আসামে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৭ জেলার ছয় লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। জীবন বাঁচাতে ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিতদের জন্য সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আগামী চারদিন আরো ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে গৌহাটি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নওগাঁও এলাকা, সেখানে প্রায় ৩ লাখ
মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চাঁচরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার, হোজাইয়ে এক লাখ ৭ হাজার, দারাংয়ে ৬০ হাজার ৫৬২ জন, বিশ্বনাথে ২৭ হাজার ২৮২ জন, উদলাগুরি জেলায় ১৯ হাজার ৭৫৫ জন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বন্যাকবলিত জেলার মানুষের জন্য একশ ৫০ কোটি রুপি ছাড় করেছে। যদিও তাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি রুপি। পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া রেললাইন সচল হতে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে, তবে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া বিমান বাহিনী বন্যাদুর্গতদের জন্য খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে আনতে আঞ্চলিক উড়োজাহাজ সংস্থা ফ্লাইবিগ এয়ারলাইনের সঙ্গে চুক্তি করেছে আসাম সরকার। এক্ষেত্রে টিকিটের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার রুপি। এর বাইরে অতিরিক্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে টানা বৃষ্টিপাতে গত ১৫ মে থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে প্রথমে ৩ জন মারা যাওয়ার খবর জানায় কর্তৃপক্ষ। যা পরে বেড়ে ৯ জন হয়েছে। মারা যাওয়া মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাও।