মাথায় সিলিং ফ্যান পড়ে কপাল ফেটেছে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। এতে তার কপালে তিনটি সেলাই লেগেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) দেবাশীষ রাজবংশী।
বৃহস্পতিবার (১২ মে ) রাত ৮টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরে ডা. মুরাদ হাসানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকখানায় নিজের সমর্থকদের আর নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মুরাদ হাসানের মাথার ওপর সিলিং ফ্যান পড়ে। এতে তার কপাল ফেটে যায় এবং গুরুতর আহত হন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে চিকিৎসক এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও দেবাশীষ রাজবংশী জানান, ডা. মুরাদ হাসানের কপালে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে নিজ বাড়িতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
বর্তমানে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অবস্থা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈম।
গত বছরের ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নারীদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এছাড়া, অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে “অপমানজনক মন্তব্য”, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দেন।
নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর তিনি দেশ ছেড়ে কানাডায় পালানোর চেষ্টা করেন। তবে দেশটির পুলিশ তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেও ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন তিনি।