ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যদিও এর প্রভাব এখনও বাংলাদেশে পড়েনি তারপরও সাগর ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার (৮ মে) নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা সুন্দরবন, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১১ মে নাগাদ ভারতের অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এবারের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম “অশনি” রেখেছে শ্রীলঙ্কা। যার অর্থ সিংহলি ভাষায় ক্রোধ।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেছেন, “লঘুচাপটি ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবারের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এখনই এর গতিপথ সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে পর্যবেক্ষণ বলছে এটি ভারতের উপকূলের দিকে যাবে। মঙ্গলবারের দিকে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাব এখনও বাংলাদেশে পড়েনি। এখন বাংলাদেশের মৌসুমের কারণে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা শুধু সাগরে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দিয়েছি। নদীবন্দরেও ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটসহ সব নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।