রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের দাফতরিক কার্যক্রমের সঙ্গে মন্ত্রীর কোনও সংযোগ নেই। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও আত্মীয় জড়িত নন। ওদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। রেল কর্মকর্তারা ওই টিটিই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।’
শনিবার (৭ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বিনা টিকিটের যাত্রী যদি মন্ত্রীর আত্মীয়ও হয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একইভাবে কোনও রেল কর্মকর্তা যদি যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তাকেও শাস্তি পেতে হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই টিটিই’রা বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। এমন অভিযোগ আমরা প্রায়ই পাচ্ছি। তবে লোকবল সংকটের কারণে আমরা এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে একেবারেই ছাড় দিলে রেলের দুর্নাম হয়ে যায়। তাই টিটিইদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ঘটনাটি শনিবার (৭ মে) সকালেই শুনেছি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ওই টিটিই বিনা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেছেন। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার রেলসেবা বাড়াতে কাজ করছে। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে টিটিই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী তিন ট্রেনযাত্রীকে জরিমানা করায় ওই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই)শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বুধবার (৪ মে) দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে জরিমানার ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকালে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।