আফগানিস্তানে বর্তমানে ৯৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের খাদ্য সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দিনে দু’বেলা খাবারের ন্যূনতম নিশ্চয়তাও নেই তাদের।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির বার্তাসংস্থা খামা প্রেস।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে খাদ্য সংকট শুরু হয় আফগানিস্তানে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেখানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
এই সংকট আরও চরম রূপ নেয় গত বছরের মাঝামাঝি থেকে, তালেবান সরকার আসীন হওয়ার পর। বিশ্বের বৃহত্তম ঋণ ও আর্থিক সহায়তা দানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তালেবানগোষ্ঠী আফগানিস্তানের জাতীয় ক্ষমতা দখলের পর গত প্রায় ৯ মাসে সাধারণ আফগানদের আয় কমেছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
খামা প্রেসের শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় রাজধানী কাবুলের ৩ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৯ জন ব্যক্তিকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো আর্থিক সহয়াতা পায়নি আফগানিস্তানের জনগণ।
আফগানিস্তানের জাতীয় অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বিদেশি সহায়তানির্ভর; কিন্তু কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে জাতিসংঘ ব্যতীত অন্যান্য সব দাতাগোষ্ঠী ও দেশসমূহ আফগানিস্তানে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগানিস্তানে ঐতিহ্যগতভাবেই ধুমধামের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়; কিন্তু এবারের ঈদ আফগানিস্তানে ছিল একেবারেই বিবর্ণ। ঈদের দিনও দেশটির বেশিরভাগ মানুষ পেট ভরে খেতে পাননি।
সূত্র: এনডিটিভি