ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভাষণ দিয়ে আরও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি ইউক্রেনকে আরও ৩০ কোটি পাউন্ডের সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি শীর্ষ নেতা কিয়েভের পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন। বরিস জনসন অবশ্য ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় ১৯৪০-এ উইনস্টন চার্চিল যা বলেছিলেন, সেই কথা একটু বদলে নিয়ে বরিস জনসন বলেন, ‘ইউক্রেনের এই সংগ্রাম আগামী অনেক প্রজন্ম মনে রাখবে ও স্মৃতিচারণ করবে।’
বরিস জনসন বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরোধ অনেক মিথ ভেঙে দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বাহিনী অজেয়, তারা হারতে পারে না। ইউক্রেনের বাহিনী বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করেছে। ইউক্রেনের দেশপ্রেমের কাছে রাশিয়ার ওয়ার মেশিন থেমে গেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে আরও ৩০ কোটি পাউন্ডের সামরিক সাহায্য দেবে। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্র থাকবে। কয়েক হাজার নাইট ভিশন ডিভাইস থাকবে।
এর আগে ৪৫ কোটি পাউন্ডের যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনকে দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছিল, তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যায় এমন সামরিক যান ইউক্রেনকে দেবে। এর ফলে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া সম্ভব হবে। এছাড়া তারা আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি)-ও দেবে। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ১৩টি ল্যান্ডক্রুজার পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বরিস জনসন ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্যদের বলেছেন, তিনি সামরিক সাহায্য করে যাবেন। যতদিন পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণ না হচ্ছে, ততদিন অস্ত্র দেওয়া হবে।
সূত্র: রয়টার্স।