২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫১৫ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭ জন এবং নিহত হয়েছে ২২৭ জন। ‘সেভ দ্য রোড-এর অঙ্গীকার পথ দূর্ঘটনা থাকবে না আর…’ শ্লোগান নিয়ে আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড ২০০৭ থেকে কাজ করে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০২২ থেকে নিয়মিত মাসিক এই প্রতিবেদন দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের ৩১ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ৮৮৪ টি দুর্ঘটনায় আহত ৬৭১ এবং নিহত হয়েছে ১৬০ জন; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪৭৭ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪০ এবং নিহত হয়েছে ১৪৬ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ৬১৫টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৪৪৫ এবং নিহত হয়েছে ২১১ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩৯ টি আহত হয়েছে ৬২১ জন এবং ২১০ জন নিহত হয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, আইয়ুব রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩০ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এপ্রিল মাসের এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচ্য তা হলো- ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃতিম টিকেট সংকট তৈরি করে ২ থেকে ৩ গুণ ভাড়া বাড়ানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। আর এই মহলে সম্পৃক্ত সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ। তারা ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করার পায়তারা করেই যাচ্ছে।