সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ফলে দেশের বাজারেও সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে, রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে ভোজ্যতেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না, সরকার এমন আশ্বাস দিলেও ঈদের আগেই রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
বাজারে ভোজ্যতেলের ঘাটতি থাকায় কোম্পানিগুলোও চাহিদা মতো তেল সরবরাহ করছে না।
আজিজুর রহমান নামে মেরুল বাড্ডা এক ইফতার বিক্রেতা বলেন, “গত কয়েকদিন ধরেই পাম ও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর পাওয়া গেলেও কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে কিনতে হচ্ছে।”
তিনি জানান, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) অন্তত ১০টি দোকান ঘুরেও বোতলজাত সয়াবিন তেল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতি কেজি ১৯০ টাকা দিয়ে বোতলবিহীন সয়াবিন তেল কিনেছেন।
তেল সংকটের কারণে রমজান শেষ হওয়ার আগেই ইফতার বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, খুচরা দোকানের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সুপার শপেও বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিচ্ছে।
ঢাকার বিভিন্ন সুপার শপের শাখাগুলোর ঘুরে দেখা যায়, ভোজ্যতেলের এক লিটার, দুই লিটার এবং পাঁচ লিটারের বোতল নেই। বেশিরভাগ আউটলেটেই ভোজ্যতেলের মজুদ শেষ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, সয়াবিন তেলের চাহিদা বেশি থাকায় বেশিরভাগ বোতলজাত তেলই বিক্রি হয়ে গেছে। একইসঙ্গে, তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন সরবরাহ না আসায় সংকট আরও বাড়ছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানদার জানান, প্রতিদিন যে পরিমাণ তেল বিক্রি হতো তার এক-চতুর্থাংশও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার দাবি করেছেন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো।