প্রায় ২০ বছর আগে ইয়াবা জব্দের ঘটনায় দেশের প্রথম মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এমরান হককে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ২০০২ সালে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলটি করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারের পর এমরানের দেওয়া তথ্যে বরাতে র্যাব জানায়, ২০০২ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পান এমরান হক। এরপর ২০০৪ সাল থেকে তিনি পলাতক। এরপরে এমরান ও তার সহযোগীরা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে ইয়াবা বাংলাদেশে আনা শুরু করেন। তারা মূলত গুলশান, বনানী, বনশ্রীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি করতেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ এপ্রিল রাতে র্যাব-১ এর একটি দল গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর গুলশানের নিকেতন আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তল্লাশি চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখান থেকে ইয়াবাসহ ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, তিনটি হেরোইন সেবনের পাইপ, দুটি যৌন উত্তেজক এডেগ্রা ট্যাবলেট, ১২০টি মরফিন ও অ্যামফিটামিনসহ মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১টি পর্ন সিডি, দুটি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। বিচার কার্যক্রম শেষে বিশেষ দায়রা জজ আদালত গত ৩১ মার্চ মামলা রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এজাহারভুক্ত আসামি শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও তদন্তে নাম আসা চার্জশিটভুক্ত এমরান হক ও সোমনাথ সাহাসহ চারজনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তখন এমরান হক ও সোমনাথ সাহা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।