শুরু থেকে ভিয়ারিয়ালকে চেপে ধরে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ হেনেও গোল আসছিল না! দ্বিতীয়ার্ধে এসে সেই গোল খরা কাটলো। তিন মিনিটের মধ্যে দুই লক্ষ্যভেদে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপসের দল। ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথম লেগে এগিয়ে গেলো সালাহ-মানেরা।
অ্যানফিল্ডে ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। হাই লাইন ডিফেন্স খেলে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছে। সাদিও মানে-সালাহ-দিয়াসরা দুই উইং কখনও বা বিল্ড আপ ফুটবল খেলে গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ফিনিশিং দুর্বলতার পাশাপাশি গোলকিপার রুলির দৃঢ়তায় মূলত প্রথমার্ধে গোল আসেনি।
ম্যাচ শুরুর ১১ মিনিটে লিভারপুল গোল পেতে পারতো। সালাহর ক্রসে সাদিও মানে দৌড়ে এসে যে হেড করলে তা দূরের পোস্ট দিয়ে যায়।
২২ মিনিটে থিয়াগোর কাছ থেকে বল পেয়ে হেডারসনের ডান প্রান্তের ক্রস সরাসরি বাইরের পোস্ট কাঁপায়।
৯ মিনিট পর লুইস দিয়াসের জোরালো শট গোলকিপার রুলি পাঞ্চ করে ফেরান। ৩৪ মিনিটে সাদিও মানের সাইড ভলি এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৪২ মিনিটে গোল প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু থিয়াগোর ডান পায়ের বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ হতে হয়।
ভিয়ারিয়াল কোনোমতে নিজেদের ডিফেন্ড অটুট রাখার চেষ্টা করেছে। তবে বিরতির পর আর গোলমুখ আর অক্ষত রাখা যায়নি।
৫৩ মিনিটে অবশেষে সফল হয় লিভারপুল। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায়। হেডারসনের ডান প্রান্তের ভাসিয়ে দেওয়া বলে এস্তোপিয়ানের পায়ে লেগে কিছুটা দিক পরিবর্তন করে জালে আশ্রয় নেওয়ার মুহূর্তে গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে যায়। তবে গোল থেকে পরিত্রান মিলেনি ভিয়ারিয়ালের।
দুই মিনিট পর সালাহর পাসে সাদিও মানে এবার আর ভুল করেননি। গোলকিপারকে সামনে একা পেয়ে সহজেই আলতো টোকায় বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে।
গোল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা কম হয়নি। তবে দিয়াস-মানেরা পাননি তৃতীয় গোলের খোঁজ। দুই গোলে জয়ের তৃপ্তি নিয়েই অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের।
বিপরীতে এই ম্যাচে রক্ষণ সামলাতে গিয়ে ত্রাহি অবস্থা ভিয়ারিয়াল প্রতি আক্রমণে উঠে কয়েকবার ওপরে উঠে খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মধ্যমাঠ পেরোতে না পেরোতে খেই হারাতে হয়েছে। ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে তাই বড় পরীক্ষা এবার স্প্যানিশ ক্লাবটির।