বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে পর্যটকদের জন্য নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে থাইল্যান্ড। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে আগামী মে মাস থেকে দেশটিতে প্রবেশের পর বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষা করতে হবে না। সেই সঙ্গে যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনেও যেতে হবে না।
আগামী ১ মে থেকে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর করবে থাইল্যান্ড। ইতোমধ্যে এক চিঠির মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটি।
নতুন নির্দেশনায় থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টিকা নেওয়া থাকলে যাত্রীদের থাইল্যান্ড যাওয়ার আগে কোনো আগাম নমুনা পরীক্ষা করতে হবে না। এমনকি সেখানে পৌঁছানোর পরও কোনো নমুনা পরীক্ষা বা কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে টিকা সনদের মূল কপি ও ফটোকপি দেখাতে হবে।
তবে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ না নেওয়া ব্যক্তিদের আগের মতোই থাইল্যান্ড পৌঁছানোর পর প্রথম ও পঞ্চম দিন আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
এর আগে থাইল্যান্ডে প্রবেশের পর প্রথম দিন ও পঞ্চম দিন করোনাভাইরাস শনাক্তের আরটি পিসিআর টেস্ট করা বাধ্যতামূলক ছিল। এমনকি প্রথম দিনের টেস্টের পর ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত থাই সরকারের নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারান্টাইনেও থাকতে হতো।
এছাড়া, আগে থাইল্যান্ডগামী যাত্রীদের ২০ হাজার ডলার কাভারেজসহ হেলথ ইনস্যুরেন্সের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ১০ হাজার ডলারে আনা হয়েছে।
পর্যটন হল থাইল্যান্ডের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ছুটি কাটানোর জন্য এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় দেশটি মহামারির আগে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ১২% আনতো পর্যটন শিল্প থেকেই। তবে মহামারির পর থেকে এ ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে দেখা দিয়েছে ভাটার টান।