দৃশ্যটা কি এর চেয়ে ভালো হতে পারত লিওনেল মেসির? পুরো মৌসুম গোলের হাপিত্যেশে কেটেছে তার। চিরকাল নায়ক হয়ে থাকা স্বভাব যার, সেই মেসি পিএসজিতে এসে বনে গিয়েছিলেন পার্শ্বনায়ক। তবে লিগ জেতার দিনে আর পার্শ্বনায়ক থাকলেন না। চলে এলেন পাদপ্রদীপের আলোয়।
লেঁসের বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচে করলেন জাদুকরি এক গোল। পরে এক গোল হজম করলেও সেই এক গোলই এক মৌসুম পর লিগ শিরোপা ফিরিয়ে দিয়েছে পিএসজিকে।
অথচ আগের ম্যাচেও হিসেব কষে বলাবলি হচ্ছিল, লিগ শিরোপার উদযাপনেও বুঝি থাকতে পারবেন না মেসি। অ্যাকিলিস টেন্ডনে প্রদাহের জন্য খেলতে পারেননি আগের ম্যাচে। তবে সেই গেমউইকে মার্শেই নিজেদের ম্যাচে জিতে যাওয়ায় শিরোপাটা তখনই নিশ্চিত করে ফেলেনি।
ফলে পিএসজির সামনে আজকের ম্যাচে সমীকরণটা দাঁড়িয়েছিল এক পয়েন্টের। লেঁসের বিপক্ষে এমন সমীকরণ সামনে রেখেই মাঠে নামে পিএসজি। চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরেন মেসি।
শুরুর অর্ধে অবশ্য খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি দলটি। পায়নি গোলের দেখা, বিরতিতে যায় ০-০ স্কোরলাইন নিয়ে। তবে বিরতির কিছু পরই লেঁসের ডিফেন্ডার কেভিন ডানসোর লাল কার্ডে কাজটা সহজ হয়ে আসে পিএসজির।
তবু অবশ্য পিএসজিকে গোলের জন্য বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হয়েছে। দুই স্তরের রক্ষণ নিয়ে যে মেসি, নেইমার ও এমবাপেকে সামলাচ্ছিল লেঁস। তবে তা স্থায়ী হলো কেবল ৬৮ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মেসি বক্সের বাইরে বল পান নেইমারের কাছ থেকে। শট করার স্পেস পেয়েই আর ভুল করেননি। আগুনে এক শটে লেঁস গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। তাতেই শিরোপার সুবাস পেতে শুরু করে পিএসজি।
শেষে গোল একটা হজম করে ড্র করেছে ম্যাচটা। দশ জনের দলকে হারাতে না পারার আফসোস তাতে কিছুটা সঙ্গী হয়েছিল পিএসজির, তবে লিগ ফিরে পাওয়ার আনন্দের কাছে সে আফসোস তো নস্যি! মেসির গোলের পরও ১-১ ড্র করা পিএসজি তাতে ম্যাচ শেষে লিগের উদযাপনে মেতেছে ঠিকই, আর আর্জেন্টাইন মহাতারকা পেয়ে গেছেন তার ক্যারিয়ারের ৩৯তম শিরোপার দেখা।