বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন তার মোট শেয়ারের ৫০% মা ও ভগ্নীপতিকে হস্তান্তর করেছেন। তারা দুইজন হলেন শামীমা নাসরিনের মা ফরিদা তালুকদার লিলি ও তার ছোট বোনের স্বামী মো. মামুনুর রশীদ।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) শামীমার আইনজীবী আহসানুল করিম ও শামীম আহমেদ মেহেদী হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইভ্যালির মোট ৬ লাখ শেয়ারের মালিক ছিলেন শামীমা। শেয়ার হস্তান্তরের পর তিনি এখন ৩ লাখ শেয়ারের মালিক।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের শেয়ারের ৫০% পরিবারের ৩ সদস্যকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শামীমার আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী বলেন, “বর্তমানে কারাগারে থাকা মোহাম্মদ রাসেল আরেকটি আবেদনের মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ চেয়েছেন, যেন তিনি তার মোট ৪ লাখ শেয়ারের মধ্যে ২ লাখ শেয়ার শ্বশুর মো. রফিকুল আলম তালুকদারের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।”
তবে হাইকোর্ট বেঞ্চ রাসেলের এ আবেদনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই সময় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান তিনি। ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।