নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নাহিদ হোসেন (২০) নামে এক যুবক আহত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, নিহত নাহিদ ডিলিংক কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান হিসাবে চাকরি করতেন। তার বাসা কামরাঙ্গীরচরের রনি মার্কেটে। মাত্র ছয় মাস আগে ডালিয়া নামের একটি মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর তারা কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন। ঢাকা মেডিকেলে এখনও আরও তিনজন ভর্তি আছেন। তারা হলেন- দোকানকর্মী মোরসালিন (২২) ও ইয়াসিন (২৩) এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী কানন চৌধুরী (২২)। এদের মধ্যে মোরসালিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডা. মো. আলাউদ্দিন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, “নিহত নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন। অফিসে যাওয়ার সময় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন।”
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১২টায় বার্গারের দাম নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিরতির পর মঙ্গলবার সকালে আবার শুরু হয়। ফলে নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুরো এলাকার রাস্তাঘাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে হয়ে পড়ে।