দ্বিতীয়বারের লকডাউন প্রথমবারের মতো কঠোর ছিল না। ছাত্ররা বাড়িতে থাকলেও অশিক্ষক কর্মচারীদের আসতে হত। শিক্ষকদেরও কখনো কখনো হাজিরা দিতে হত তবে ক্লাস চলত অনলাইনে।
মে মাসের শেষদিন ছিল পলাশের কর্মজীবনের শেষদিন। রেজিস্টারে শেষবারের মতো সই করল সে। ইলেকট্রিসিয়ান রূপকুমার, ডিলিং ক্লার্ক সাহু, অ্যাকাউণ্টট্যাণ্ট হেমন্ত… সকলেই বিদায় জানালো খালি হাতে অথচ মাত্র চারমাস আগে হেডমাস্টারের প্রিয়পাত্র চঞ্চলের রিটায়ারমেণ্ট উপলক্ষে কত ধুমধাম– ঘণ্টাখানেকের অনুষ্ঠানে ছিল উৎসবের আমেজ! চঞ্চলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল– পাওয়ার ব্যাঙ্ক, উলেন জ্যাকেট, ফুলের তোড়া, প্রশস্তিপত্র… আরও কত কী!
দীর্ঘ পঁচিশ বছর শিক্ষকতার পর বিদায় নিল পলাশ। সহকর্মীদের আড়ালে হেডমাস্টার হেসে যেন বলছে, “বিনা স্তাবকতায় নাহি দিব সূচাগ্র সম্মান!”