ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ লঞ্চ সেবা। ওইদিন থেকেই কেবিনের অগ্রিম টিকিট বেচাকেনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিআইডব্লিউটিএ, প্রশাসন ও লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক (মিডিয়া) মোবারক হোসেন মজুমদার নিশ্চিত করেন।
মোবারক হোসেন বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। আর টার্মিনালগুলোতে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে এবং পাঁচদিন পরে লঞ্চে কোনো মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে না।”
এছাড়া, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নদীতে কোনো বালুবাহী ট্রলার চলাচল করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ আদেশ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদরঘাট থেকে ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন সেখান থেকে গড়ে ৮০টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় প্রায় দুইশ লঞ্চ চলাচল করে।
বুয়েটের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এবারের রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখ মানুষ গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে।
রবিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরে বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হাদিউজ্জামান বলেন, প্রতিদিন ১৬ লাখ যাত্রী স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।
এর মধ্যে বাসে ৮ লাখ, ট্রেনে এক লাখ, লঞ্চে ১ লাখ ২৫ হাজার, মোটরসাইকেল ৩ লাখ এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩ লাখ মানুষ যেতে পারবে। কিন্তু ১৪ লাখ যাত্রী কোনো যানবাহন পাবেন না। ফলে তারা ‘‘বিকল্প উপায়ে’’ যাবেন।
এ বছর লঞ্চে যাতায়াতে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে হবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।