৯৯৯-এ অভিযোগ প্রদানকারী ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পেটানো ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ওই তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় একজন আনসার সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ সরকার, কনস্টেবল শওকত ও নারী কনস্টেবল নবনিতা।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার কনস্টেবল নবনীতা বনসেন এক নারীর হাতে লাঠি দিয়ে একের পর এক বাড়ি দিচ্ছেন। গলা টিপে ধরে এবং ওই নারীর চুলের মুঠি ধরে টেনে-হিঁচড়ে নির্যাতন করতে দেখা যায় তাকে। এছাড়া এসআই বিশ্বজিৎ সরকার ও কনস্টেবল শওকত মিলে এক বৃদ্ধকে মারধর করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নিয়ে যান।
ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ওই তিন পুলিশ সদস্য ছাড়াও ঘটনাস্থলে এক আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাকে তার বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তে ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কামরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাড়ির সামনে দেয়াল তুলে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে ৯৯৯-এ ফোন করে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। পরবর্তীতে অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের মারধর করে এবং তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে একটি টিভি চ্যানেল।