নওগাঁয় গুজব ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে করা ওই মামলার এজহারে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরইমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি কিউ এম সাঈদ টিটু ও সামছুজ্জোহা মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।
তিনি জানান, সকালে উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগে দ-বিধির ১৪৩, ৫০০, ৫০৬ ও ২৯৫ (ক) ধারায় এজহার দাখিল করেছেন। তিনি মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করেছেন ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক কিউ এম সাঈদ টিটুকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লাইব্রেরীপট্টি এলাকার নিজ বাড়ি ও সাংবাদিক সামসুজ্জামান মিলনকে উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে আমোদিনী পালের করা মামলায় এজহার নামীয় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামি কিউ এম সাঈদ টিটু ও সামসুজ্জামান মিলন স্থানীয় গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করতেন।
তবে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের সাংবাদিক হিসেবে নয়, অপরাধী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকা স্কুলড্রেস পরে না আসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাসন করেছিলেন। পরে একটি চক্র বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছিলো। অবশ্য এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও শিক্ষিকা আমোদিনী পাল নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।