২৫ রোজার মধ্যে লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের সব বকেয়া মজুরি ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘ। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তারা এ দাবি জানায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা যারা লোকাল গার্মেন্টসে কাজ করি, তাঁদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এ শিল্পের মালিকরা বিগত ৮ মাসে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক খরচ বাবদ কিছু টাকা দিলেও বাকি মজুরি তাঁদের পকেটে রেখেছে। তাই আজ এ শিল্পের শ্রমিকরা দুঃখ, কষ্ট, অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
তাঁরা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। দাম বাড়লেও কাজের রেট বা মজুরি সে হারে বাড়েনি। এ জন্য আমাদের আসল মজুরি কমে গেছে। এ প্রেক্ষিতে বাঁচার জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করতে হচ্ছে।’
মালিকরা শ্রম আইনের অনুসরণ করেনা অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, শ্রম আইনে বছরে দুই ঈদে দুই মাসের বেতনের সমান ২টি বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সারা বছর কাজ করার পরও মালিকরা আমাদের পাওনা পরিশোধ করে না। এমতাবস্থায় বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই।
ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘের সভাপতি আহমেদ সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মানিকের পরিচালনায় সমবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অনান্য শ্রমিক নেতারা।