কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে সেচ প্রকল্পের বিবাদকে কেন্দ্র করে মোরশেদ আলীকে হত্যা ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ইফতার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার আকুতি করেও রক্ষা পাননি মোরশেদ।
শুক্রবার ( ১৫ এপ্রিল) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে মোরশেদ আলী (৩৮) হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ বিষয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে পানি সেচ প্রকল্পের বিবাদকে কেন্দ্র করে মোরশেদ আলীকে হত্যা করা হয়।
নিহতের ভাই জয়নাল আবেদীন জানিয়েছিলেন, সরকারি একটি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন আমরা ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিলাম। একপর্যায়ে একই এলাকার মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর লোকজন জোর করে দখল করে নেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিল। কিছুদিনের মধ্যে ওই সেচ প্রকল্প নতুন করে ইজারা হওয়ার কথা। ইজারা পাওয়ার জন্য আমরা আবেদন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ইফতারের বাজার করার জন্য চেরাংঘর বাজারে গেলে মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর লোকজন লোহার রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে আমার ভাই এরশাদ আলীর ওপর হামলা করে। তারা এরশাদকে মাটিতে ফেলে প্রায় ২০ মিনিট উপর্যুপরি আঘাতের পর চলে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় এরশাদকে উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।