এবার নেপালের অর্থনীতিতে ঘনিয়ে আসছে আশঙ্কার কালোছায়া। অদূর ভবিষ্যতে নেপালের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন অনেকেই। আসন্ন এই বিপদ এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশটিতে চলছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। কাগজের অভাবে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাগজ আমদানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা তাদের কাছে নেই।
বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত নেপাল। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধেরও অবস্থাও নেই তাদের। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারছে না দেশটি। ফলে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সিপিএন-ইউএমএল) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শ্রীলঙ্কার মতো নেপালও ধীরে ধীরে এমন গভীর অর্থনৈতিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দলটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা বিষ্ণু পাউদেল, সুরেন্দ্র পাণ্ডে ও ড. যুবরাজ খতিবাদা বলেছেন, নেপালের অর্থনীতি সংকটে রয়েছে এবং দ্রুত আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।
গত ১০ এপ্রিল নেপাল সরকার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহা প্রসাদ অধিকারীকে বরখাস্ত করে। অর্থনীতিকে সংকটময় অবস্থা টেনে তুলতে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং নেপালি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: টাইমস নাউ