ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ শিশুকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। সোমবার (১১ এপ্রিল) সংস্থাটির জরুরি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ম্যানুয়েল ফন্টেইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ম্যানুয়েল ফন্টেইন সম্প্রতি ইউক্রেন থেকে ঘুরে এসে বলেন, দেশটিরর ৭৫ লাখ শিশুর মধ্যে ৪৮ লাখ শিশুই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি এমন ঘটনা দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০ লাখ শিশু তাদের বাড়িতে রয়েছে; কিন্তু তার প্রায় অর্ধেক শিশু খাবার না পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
৪৭ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ৪৮তম দিন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।