খুলনা থেকে যশোরের বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেসে (বেনাপোল কমিউটার) ছোড়া পাথরের আঘাতে চালক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে খুলনা নগরের প্রান্তের যোগীপোল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের একজনের (১৪) বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। আরেকজনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি গ্রামে। দুই জনই নগরের খানজাহান আলী থানা এলাকার যোগীপোল আদর্শ নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
খুলনা জিআরপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবীর আহমেদ বলেন, বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস (বেনাপোল কমিউটার) সকাল পৌনে ৭টার দিকে খুলনা ছেড়ে যায়। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ট্রেনটি যোগীপোল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে ট্রেন লক্ষ্য করে কয়েকটি পাথর ছুঁড়ে পালিয়ে যায় দুই কিশোর। পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক গাজী মারুফ আহত হন। তার ঠোঁট ও মুখ ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। এরপর রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে দুই কিশোরকে আটক করে।
এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. রবিউল হাসান বলেন, ট্রেন একটি নিরাপদ ভ্রমণ ব্যবস্থা। যাত্রীদের কাছে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মূলত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটানো হয়। বেশ কিছুদিন এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে একমাস ধরে পাথর ছোড়ার ঘটনা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক দুই কিশোরকে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে তুলে দেওয়া হবে। ট্রেনের চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মিনিট দশেক বন্ধ রেখে ট্রেনটি নিয়ে আবারও বেনাপোলের উদ্দেশে রওনা হন চালক।