রোহিঙ্গা সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত (৩১ মার্চ) ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে পরিবারটি যাত্রা শুরু করে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
মুহিবুল্লাহর গড়া সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলে-মেয়ে, জামাতাসহ ১১ জনকে কানাডায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কানাডার সরকার তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মুহিবুল্লাহ (৪৮) নিহত হন। এ ঘটনার জন্য তার পরিবার শুরু থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসাকে (আরাকান স্যালভেশন আর্মি) দায়ী করে আসছে।
পরিবারের দাবি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে সক্রিয় থাকায় এবং শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে উঠার কারণে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে মুহিবুল্লাহর পরিবার নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আসছিল। এ জন্য বিদেশে আশ্রয় চেয়ে তারা দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন।
মুহিবুল্লার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমার ভাই এগিয়ে আসতেন। তাদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছিলেন। শুধু এখানে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও আমার ভাইয়ের পরিচিতি ছিল। হয়তো ওই পথ বন্ধ করতেই তাকে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।