আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ইয়েমেনে অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানালো সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সৌদির নেতৃত্বাধীন জোট জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতে রমজান মাসে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। হুতি অবশ্য সৌদির এই সিদ্ধান্তকে অর্থহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে।
তাদের বক্তব্য, দেশের বন্দরগুলি আগে পুরোপুরি খুলতে হবে। এর আগে জাতিসংঘের তরফে রমজানে অস্ত্রবিরতির আবেদন জানানো হয়েছিল। আগামী ২ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হচ্ছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, জোটের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বুধবার সকাল ছয়টা থেকে তারা ইয়েমেনে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র বলেছেন. এই অস্ত্রবিরতিকে সফল করতে জোটের তরফ থেকে সব ধরনের চেষ্টা হবে। তারা রমজান মাসে শান্তি ও ইতিবাচক পরিস্থিতির পক্ষে। তারা চান, এই বিরোধ মিটে যাক। হুতির আবেদন ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।
তাদের বক্তব্য, জোটের তরফ থেকে দেশের বন্দরগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। সানা বিমানবন্দরও বন্ধ। হুতির মুখপাত্র বলেছেন, জোট যদি বন্দরগুলি থেকে অবরোধ না তোলে তাহলে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার ঘোষণা অর্থহীন। লড়াইয়ের থেকেও বন্দর অবরোধ বেশি মারাত্মক বলে হুতি জানিয়েছে। ইয়েমেনে এই লড়াই সাত বছর ধরে চলছে। এই লড়াই বন্ধ করার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল লড়াই বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু হুতিরা সেখানে যোগ দেয়নি।
তারা বলেছিল, নিরপেক্ষ কোনো দেশে বৈঠক হলে তারা যেতে পারে। সৌদিতে কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। একতরফা অস্ত্রবিরতি কতদিনের জন্য হবে এবং হুতি শেষপর্যন্ত তাতে সায় দেবে কি না, এ বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ তথ্য জানা যায়নি।