‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে খুনি ভাড়া করে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উপরের নির্দেশদাতা কে—জানে না হত্যাকারী নিজেও। রবিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার মাসুম মোহাম্মদ আকাশের নামে হত্যা মামলাসহ চার-পাঁচটি মামলা আছে বলে সে দাবি করেছে। নিজেকে সে ফেরারি বলে পরিচয় দিয়েছে। সে হতাশাগ্রস্ত ছিল। মামলার কারণে বাড়ি-ঘরে যেতে পারে না, বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে পারে না। যারা তাকে আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করতে ভাড়া করেছিল, তারা বলেছিল, হত্যা করতে পারলে এসব মামলা থেকে সে রিলিফ পাবে। একারণে সে হত্যাটি করে। তবে তাকে কন্ট্রাক্ট করা হয়েছে কাটআউট পদ্ধতিতে।’
‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে সাধারণ জঙ্গিরা কাজ করে। অর্থাৎ একটা পর্যায় পর্যন্ত খুনি জানে। কিন্তু এর পেছনে কে রয়েছে তা আর জানে না খুনি।
হত্যাকাণ্ডের মোটিভের বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘যেহেতু এটা বিচার্য বিষয়, তাই এখনই আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আরও নির্দিষ্ট হয়ে এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো বিষয় মাথা রেখে তদন্ত করছি। আকাশের সহযোগীর নাম আমরা পেয়েছি, তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহতি রয়েছে।’