নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেন হত্যাকাণ্ডে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই জন উপস্থিত ছিলেন এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইমনের আত্মীয় আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), সেন্টু মিয়া (২৫) ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনা (৪৭)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (১৮)।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, শিশু ইমন হত্যায় ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ, ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির কাছে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।