পুরো ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখানো বাংলাদেশ দলের জয় যে সুনিশ্চিত- সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকেরা। এরপরও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করার অপেক্ষায় সবাই ছিলেন সবাই। অতপর ইনিংসের ৪৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর বলে কেশব মাহারাজ এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। তাতেই গড়া হয়ে গেল ইতিহাস। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৪ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় তামিম ইকবাল বাহিনী। রান তাড়া করতে নেমে ২৭৬ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। ফলে ৩৮ রানের জয় পায় রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। এ জয়ের ফলে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফররত বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী রবিবার আবারও মাঠে নামবে দুদল।
সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সূচনা পায় সফরকারীরা। ওপেনিং জুটিতেই তামিম এবং লিটন মিলে তুলেন ৯৫ রান। অতপর ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন দলীয় ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
তামিম আউট হওয়ার পরের ওভারেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। তবে সেই ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৫০ রান। আর মুশফিক ফেরেন মাত্র ৯ রানে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আপনতালে খেলে যান সাকিব আল হাসান এবং ইয়াসির আলি রাব্বি। দুজন মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন। সাকিব এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। কিন্তু লুঙ্গি এনগিদির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ রান। এদিকে অভিষেক ফিফটির দেখা পেয়েছেন ইয়াসির রাব্বি। আউট হয়েছেন ৫০ রানেই।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ এবং মেহেদিরা মিলে দলীয় স্কোরকে তিনশর ঘর ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ১৭ বলে ২৫ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৩ বলে ১৭ রানে আউট হন আফিফ হোসেন। আর ১৩ বলে ১৯ রানে মেহেদি ও ৫ বলে ৭ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন এবং কেশব মাহারাজ
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৩৬ রান তুলতেই টপঅর্ডারের তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জানেমান মালান আউট হন ৪ রানে। আরেক ওপেনার কাইল ভেরেইনে করেন ২১ রান। আর এইডেন মারক্রাম ফেরেন শূন্য রানেই।
চাপে পড়া দলকে সামনে থেকে লিড দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার রশি ভ্যান ডার ডুসেন এবং টেম্বা বাভুমা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ৮৫ রান। এরপর বাভুমাকে ৩১ রানে ফেরান শরিফুল। এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে তাসকিনের বলে ৮৬ রা করেন আউট হন ডুসেন। আর ২ রান করে করেন ফেলুকায়ায়ো ও জানসেন।
শেষদিকে ডেভিড মিলার জয়ের ক্ষুদ্র প্রয়াস চালালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। ৫৭ বলে ৭৯ রান করে মিরাজের বলে পরাস্থ হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এছাড়া ক্যাগিসো রাবাদা করেন ১ এবং কেশব মাহারাজ ২৩ রান করেন। আর ১৫ রানে লুঙ্গি এনগিদি অপরাজিত থাকেন।