দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ)। ৩১ দিনব্যাপী চলা মেলায় এ বছর সাড়ে ৫২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এ বছরের বিক্রয় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ও একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর মেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
২০২০ সালে ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২১ সালে বই বিক্রি মাত্র ৩.১১ কোটি টাকায় নেমে যায়।
জালাল বলেন, “মোট বিক্রির ধারণা পেতে বাংলা একাডেমি মেলার শেষের দিকে একটি জরিপ চালায়। যদিও আমরা সঠিক সংখ্যা পাইনি তবে একটি অনুমান করতে পারি। এ বছর বিক্রি আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।”
২০২২ সালের একুশে বইমেলায় ৩ হাজার ৪১৬টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইয়ের ২৬% বাংলা একাডেমির বিবেচনায় “মানসম্পন্ন প্রকাশনা” হিসেবে বিবেচিত হয়।
মেলায় একাডেমি ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। গত মেলার তুলনায় এবার ১৭% বেশি বই বিক্রি হয়েছে বলে জালাল জানান।
এ বছর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০টি কবিতার বই, ৫০১টি উপন্যাস এবং ৪৬৭টি গল্পের বই।
প্রাথমিকভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজকরা ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ বছর বইমেলায় ৭৭৬টি ইউনিট ও ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ ৫৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।