ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না সেটা বুঝতে পেরেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং দেশটির জনগণ। যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট এক্সপেডিশনারি ফোর্সের (জেইএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সভায় জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।
ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ন্যাটোর দরজা আমাদের জন্য খোলা তা আমরা বহু বছর ধরে শুনে আসছি। কিন্তু আমরা ন্যাটোতে যোগ দিতে পারব না সেটা ইতোমধ্যে জেনে গেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদেরকে এ সত্য অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে। এবং আমি খুশি যে ইউক্রেনের জনগণও সেটা বুঝতে শুরু করেছে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা এখন শুধু নিজেদের এবং যারা আমাদেরকে সাহায্য করছেন তাদের ওপর নির্ভর করব।”
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রুশ সরকার। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ক্রেমলিনের ঘোষণা উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, সম্প্রতি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ রাশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মকর্তাকে “কালো তালিকাভুক্ত” করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে মস্কো মোট ১৩ জন আমেরিকানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।