রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন ধরমপুরের ‘এন.আর ছাত্রাবাসে’ ঘটনাটি ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছুরিকাঘাতের শিকার সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তাকে আহত অবস্থায় রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। সকালে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘তার অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে, যার কারণে বাঁ পা অবস হয়ে গেছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শমতো তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘নামাজ না পড়াকে কেন্দ্র করে শরিফ নামে তার (নাফি) এক বন্ধুর সঙ্গে মেসের কয়েকজন জুনিয়রের ঝামেলা হয় বলে জেনেছি। নাফিসহ কয়েকজন বিষয়টির মীমাংসা করতে যায়। এ নিয়ে রাতে মেসে মীমাংসা বৈঠকও হয়। মীমাংসায় মেস মালিকও ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেসটিতে থাকলে নামাজ বাধ্যতামূলক। নাফির বন্ধু শরিফ মসজিদে গিয়ে নামাজ না পড়া থেকে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। রাতে মীমাংসা বৈঠকের পর নাফিকে মেসেই বহিরাগত কয়েকজন ছুরিকাঘাত করে আহত করে। তবে আহত শিক্ষার্থী অবস্থা জটিল হওয়ায় তার কাছ থেকে ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা জানা যায়নি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এনআর ছাত্রাবাসের গেটে মালিকের টানানো মোবাইল নম্বর থেকে কল করা হলে এই প্রতিবেদকের পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকার কল করা হলেও আর রিসিভ করেননি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি বলা যাবে না।